Tarabir Namaz PC TECH BD 0 ১:২৮ PM জেনে রাখুন তারাবীহ নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত । শুধু মাত্র রমজান মাসে এই তারাবীহ এর নামাজ পড়তে হয়। এশা’র নামাজের ২ রাকাত সুন্নত আদায় করার পরে এবং বিতর নামাজ এর আগে ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করতে হয়। যদিও তারাবীহ নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত অনেকেই জানেন, তার পরেও আরো একবার ভালো ভাবে দেখে নিন। তারাবীর নামাজের নিয়ত বাংলায়: (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা আলা রাকয়াতাই সিলাতিৎ তারাবীহী সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।) (প্রত্যেক চারি রাকায়াত নামায পড়বার পর নিম্নলিখিত দোয়া তিনবার পড়িবে।) তারাবীহ নামাজের দোয়া: বাংলায়: (সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা জিল্ ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ।) (প্রত্যেক চার রাকয়াত নামাযের পর এই মোনাজাত পড়িতে হইবে।) তারাবিহ নামাজের মোনাজাত: বাংলায়: (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির না মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু ইয়া মুজিরু, বিরাহ্মাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।) রোজার নিয়ত হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। ইফতারের দোয়া হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। তারাবীর নামাজের উদ্দেশ্য, তাত্পর্য ও ফজিলত রমযান মাসেই সালাতুল তারাবীহ নামায আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০ (বিশ) রাকাত নামাযের মাধ্যমে প্রথম সাতদিনে দেড় পারা এবং পরবর্তী বিশ দিনে একপারা করে সাতাশ দিনে পুরো ৩০ (ত্রিশ) পারা কোরআন শরীফ পাঠ করা হয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য, তাত্পর্য ও ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহতায়ালার ঘোষনা হচ্ছে ” রমযান মাস হচ্ছে সে মাস যে মাসে নাযিল হয়েছে কোরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য বিধানকারী” সূরা বাক্কারা, আয়াত ১৮৫। উল্লেখিত আয়াতদ্বারা সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে, ৩০ পারা কুরআনে মানবজাতির কল্যান নিহিত। কোরআনে সমগ্র মানবজাতির জীবন ব্যবস্থা কি হওয়া উচিত তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ননা করা হয়েছে। বর্ণনা করা হয়েছে কি কি গ্রহণীয়, কি কি বর্জনীয়। কি ন্যায় কি অন্যায়। কোন কোন কাজ করা হারাম এবং মানুষের জন্য কি কি হালাল। কোন কোন কাজের জন্য সে কি কি শাস্তি ভোগ করবে এবং আমল ভাল হলে সে কি কি পুরষ্কার পাবে। এ ছাড়া সকল কাজের হিসাব তিনি মহা বিচারক হিসেবে আখেরাতের দিবসে গ্রহণ করবেন। কাজেই সমগ্র বিষয়াবলীই যেন মানুষ জ্ঞাত হয়ে ভাল মন্দের পার্থক্য অনুধাবন করে জীবন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে সেজন্যই ৩০ পারা কোরআন পাঠের মাধ্যমে সালাতুল তারাবী নামায আদায় হয়ে থাকে। কাজেই মানুষ জাতিকে সচেতন করাই্ হচ্ছে তারাবী নামাযের প্রকৃত উদ্দেশ্য। এক রমযানের পর আরেক রমযানে এসে আবারও মানুষকে সচেতন করা হয়ে থাকে। সে কি কি ভুলে গিয়েছিল ঐগুলো যাতে সংশোধন করতে পারে। পরীক্ষার সময় প্রতিটি ছাত্র যেমন তার প্রশ্নের উত্তরগুলো রিভিশন দেয় তেমনি করে তারাবীর মাধ্যমে মানুষের মনে প্রতি বছর জাগ্রত করে দেয়া হয় আল্ল¬াহর বিধানাবলী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের কি করা উচিত আর আমরা কি করছি। আমাদের সকলেরই জানা যে, প্রতিদিন তিন ওয়াক্তের ফরজ নামাযে কোরআনের আয়াত (নামাযী এককভাবে হোক অথবা জামাতে ইমাম সাহেব) উচ্চস্বরে পাঠ করে থাকেন। যা সুষ্পষ্ট এবং আরবী আয়াতগুলোর প্রতিটি বাক্য সকলেই বুঝতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কোন সুন্নত নামায, জামাতে এবং তার আয়াতগুলো উচ্চস্বরে পাঠ করা হয়না। অথচ তারাবীর এই সুন্নত নামায জামাতে এবং প্রতি রাকাতের আয়াতগুলো উচ্চ স্বরে পাঠ করা হয়ে থাকে। পার্থক্য হচ্ছে আমাদের দেশে ফরজ নামাযের আয়াত সুষ্পষ্টভাবে শোনা যায় কিন্তু তারাবী নামাযের আয়াতগুলো যিনি পড়েন এবং পেছনে যদি আরেকজন হাফেজ বা অভিজ্ঞ কোরআন পাঠক থাকেন তিনি ব্যতীত আর কেহই বুঝতে পারেন না হাফেজ সাহেব কি পড়ছেন। ফরজ নামাযের আয়াত যেভাবে পাঠ করা হয় তারাবী নামাযের আয়াত সেভাবেই পাঠ করা উচিত নয় কি ? তাই যদি না হয় তাহলে আল্লাহর ঘর বেষ্টিত মসজিদুল হারাম এবং বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (স.) এঁর রওজা বেষ্টিত মসজিদে নব্বীতে দু’ ঘন্টা সময় নিয়ে তারাবীর নামায আদায় হয় কেন? আমরা যারা রমযান মাসে ওখানে যাচ্ছি তারা সকলেই এ দীর্ঘ সময় ধরে ইমামের পেছনে নামায আদায় করেছি তা কারো অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রথম প্রথম যারা গিয়েছি তাদের সবার মধ্যেই ভীতি ও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল এতো দীর্ঘ সময় ধরে নামায পড়তে পারবো কিনা? কিন্তু সালাতুল তারাবী যখন শুরু হলো তখন প্রথম রাকাতের আয়াত পাঠ শেষে ইমাম যখন রূকুতে যাচ্ছে তখন ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হলো যেন তাড়াতাড়ী রূকুতে গেলেন, আরও কিছু আয়াত পড়লো না কেন? এমনিভাবে ২০ রাকাত যখন শেষ হলো তখন মনে হয়নি যে ২ ঘন্টা ধরে নামায পড়েছি। এতে করে আমাদের কারো কোন কষ্ট বা পায়ে ব্যথা অনুভব হয়নি। দীর্ঘ সময় নামায পড়ায় কষ্ট না অনুভূত হওয়ার কারণ হচ্ছে ইমাম সাহেবদের সুরেলা কণ্ঠে উচ্চারিত কোরআনের প্রতিটি শব্দ/আয়াত যা ছিল পরিষ্কার এবং প্রতিটি মুসলমান নর নারীর বোঝার উপযোগী। তাঁদের কণ্ঠ যেমন আমাদের আকৃষ্ট করেছে তেমনি যেখানে যেখানে ভয়ের / আযাবের আয়াত পাঠ করেছে সেখানে তাদের কণ্ঠের ক্রন্দনভাব আমাদের আবেগে আপ্লুত করেছে। অনুরূপভাবে যেখানে ছিল রহমতের / আল্লাহর পথে চলার আহ্বান সেখানে তাদের কণ্ঠের অনুরূপ ভঙ্গি আমাদের আন্দোলিত করেছে। আরবী ভাষাভাষীর মানুষ না হয়েও মনে হয়েছে যেন আমরা বুঝতে পারছি তিনি আল্লাহর কি বানী পড়ছেন। তাঁদের কণ্ঠের মাধুর্যতা, উচ্চারনের তাল ও লয় যেন এক অপরূপ মহিমায় সমগ্র নামাযীকে আকৃষ্ট ও ধন্য করেছে। ঐ তেলাওয়াত যেমন ছিল হূদয়স্পর্শী তেমনি যখন তাদের কণ্ঠে আবেগপ্রবন আয়াত উচ্চারিত হয়েছিল তখন অন্তর হয়েছিল ভীত সন্ত্রস্ত্র, আবার কখন কখন হয়েছিল হেদায়েতের পথে চলার শক্তি পাবার প্রেরণা। সর্বোপরি অধিকাংশ আয়াতের অর্থ বুঝিনি সত্য তবে কোরআন তাঁদের কণ্ঠে শুনে কোরআন পড়েছি বলা যায়। আল্লাহর ঘর বেষ্টিত মসজিদুল হারাম এবং বিশ্ব নবীর রওজা বেষ্টিত মসজিদে নববীকে আমরা সকলেই মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে জানি এবং মানি। তাই যদি হয় তাহলে ঐ প্রাণকেন্দ্রদ্বয়ে যদি তারাবীর নামায দু’ ঘন্টা পনের মিনিট ব্যাপী পড়া হয় এবং তাদের ইমামের পড়া কুরআনের প্রতিটি আয়াত যখন নামাযরত প্রতিটি মুসলিম নর নারীর বোধগম্য হয় তাহলে আমাদের দেশের নামাযে এত অষ্পষ্টতা কেন এবং কেনই বা কোরআন পড়ায় এত তাড়াহুড়া। এ নামায যদি তাড়াহুড়ার নামায হতো তাহলে ওখানে কেন আমাদের দেশের মত পড়া হয়না। (সংক্ষেপিত) রোজার জরুরি মাসায়েল ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে কি না রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। কারণ, ইনহেলার দ্বারা অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগী শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখ দিয়ে ধোঁয়া টেনে নেয়- যেভাবে মানুষ বিড়ি-সিগারেট পান করে। রোজা অবস্থায় বিড়ি-সিগারেট পান করা নিষেধ। এতে রোজা ভেঙে যায়। তাই ইনহেলার ব্যবহারেও রোজা ভেঙে যায়। উল্লেখ্য, রোজা রাখার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এমন যেকোনো কাজ রোজা ভঙ্গের কারণ। [ফতোয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড, ৩৯৫ পৃষ্ঠা। ফতোয়ায়ে দারুল উলুম, ষষ্ঠ খণ্ড, ৪১৮ পৃষ্ঠা।] ইনজেকশন ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে কি না ইনজেকশন দ্বারা ওষুধ গ্রহণ করলে রোজা ভাঙবে না। কারণ, রোজা ভঙের শর্ত হচ্ছে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনো কিছু পেঁৗছা। ইনজেকশনে যেহেতু এ ধরনের কিছু নেই, তাই এটা রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। [আহসানুল ফাতাওয়া, চতুর্থ খণ্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা।] সন্তানকে দুধ পান করালে রোজার ক্ষতি হয় কি না সন্তানকে দুধ পান করালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ, এটা রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। আর রোজায় বলা হয় পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে। এখানে যেহেতু পানাহার ও স্ত্রী সহবাসের কোনো সুযোগ নেই, তাই রোজা হয়ে যাবে। [ফতোয়ায়ে শামি, তৃতীয় খণ্ড, ৩৭১ পৃষ্ঠা।] রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা নিমের মাজন ব্যবহার করলে তার হুকুম কী রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট ও নিমের মাজন ব্যবহার করা মাকরুহ (অপছন্দনীয়)। কারণ টুথপেস্ট ও নিমের মাজনের স্বাদ অনায়াসে মুখের ভেতরে প্রবেশ করে, যা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। অবশ্য নিমের ডাল ও অন্যান্য মেছওয়াক দ্বারা দাঁত মাজা যায়। [আহসানুল ফতোয়া, চতুর্থ খণ্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা।] মা-বাবা নামাজ-রোজা ঠিকমতো পালন না করে মারা গেলে সন্তানের দায়িত্ব যদি মা-বাবা নামাজ-রোজা ঠিকমতো আদায় না করে ইন্তেকাল করেন তাহলে (যদি অসিয়ত করে যান তবে) সন্তানের ওপর দায়িত্ব হলো মা-বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে নামাজ-রোজার কাফফারা আদায় করে দেওয়া। যদি তাঁরা সম্পদ রেখে না যান বা অসিয়ত করে না যান তাহলে সন্তানের ওপর দায়িত্ব নেই। তবে স্বেচ্ছায় সন্তান যদি কাফফারা আদায় করে দেয় তাহলে মা-বাবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। নামাজ ও রোজার কাফফারা হলো প্রতি ওয়াক্ত নামাজ বা প্রতিটি রোজার পরিবর্তে পৌনে দুই সের আটা বা গম বা তার মূল্য কোনো গরিব মানুষকে দান করে দিতে হবে। উল্লেখ্য, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঙ্গে বেতের নামাজকেও হিসাব করতে হবে। সে হিসাবে দৈনিক নামাজ হচ্ছে ছয় ওয়াক্ত। সুতরাং, প্রতিদিন ছয় ওয়াক্ত নামাজের কাফফারা দিতে হবে। কেউ যদি অসুস্থ অবস্থায় রোজা না রেখে মারা যায় তাহলে রোজার কাফফারা লাগবে না। কারণ সে রোজা রাখতে সক্ষম হওয়ার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। যদি সুস্থ হওয়ার পর সময় পাওয়া সত্ত্বেও রোজা কাজা না করে মারা যায় তখন কাফফারা দিতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির হুঁশ থাকা অবস্থায় নামাজ পড়তেই হবে। যেভাবে তার পক্ষে সম্ভব হয়। তাই অনেক আলেম বলেন, নামাজ না পড়লে এর কোনো কাফফারা নেই। তবে অনেকের মতে, হয়তো আল্লাহপাক কাফফারার বিনিময়ে তাকে মাফ করে দিতে পারেন। তাই কাফফারা দেওয়া উচিত। [ফতোয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা।] পাগল বা বেহুঁশ হলে তার বিধান যদি কোনো ব্যক্তি পুরো রমজান মাস পাগল থাকে তাহলে তার ওপর থেকে রমজানের রোজা রহিত হয়ে যাবে। যেরূপ ভাবে ইসলামের অন্যান্য বিধান তার ওপর থেকে রহিত হয়ে যায়। আর কেউ রমজানের রোজা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে গেলে এবং তা সে অবস্থায় কয়েক দিন থাকলে যেদিন সে বেহুঁশ হয়েছিল সেদিনের রোজা কাজা করবে না। পরবর্তী দিনগুলোর রোজা কাজা করবে। [হেদায়া, প্রথম খণ্ড, কিতাবুস সওম।] সেহরি ইফতার ভুলবশত আগে পরে হলে তার বিধান যদি কোনো ব্যক্তি সেহরি খাওয়ার পর জানতে পারল যে, যেই সময়ে সেহরি খেয়েছে এর আগেই সময় শেষ হয়ে গেছে। অথবা সূর্যাস্ত হয়ে গেছে ভেবে ইফতার করল। অতঃপর দেখা গেল এখনো সূর্যাস্ত হয়নি। তাহলে সেদিনের অবশিষ্ট সময়টুকু বিরতি পালন করবে এবং অন্য সময়ে তা কাজা আদায় করে নেবে। [হেদায়া, প্রথম খণ্ড, কিতাবুস সওম।] রোজা অবস্থায় স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসব হলে রোজা অবস্থায় যদি কোনো স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। যতগুলো রোজা বাদ যাবে বছরের অন্য সময়ে তা কাজা আদায় করে নেবে। সন্তান প্রসব করলেও একই বিধান। অর্থাৎ রক্তস্রাব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখবে না। ছুটে যাওয়া রোজাগুলো অন্য সময়ে কাজা আদায় করবে। [হেদায়া, প্রথম খণ্ড, কিতাবুস সওম।] গ্রন্থনা : মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন Tarabir Namaz জেনে রাখুন তারাবীহ নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত । শুধু মাত্র রমজান মাসে এই তারাবীহ এর নামাজ পড়তে হয়। এশা’র নামাজের ২ রাকাত সুন্নত আদায়... আরও পড়ুন »